আরব বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ও মূল্যবান খেজুর হলো ‘সুক্কারি খেজুর’। আরবি ভাষায় ‘সুক্কারী’ শব্দের অর্থই হলো ‘মিষ্টি’। নামের মতোই, এই খেজুর তার অসাধারণ মিষ্টতা এবং উচ্চ পুষ্টিগুণের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। অনেকেই এটিকে প্রাকৃতিক চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর এই খেজুর শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সবরকমের সুক্কারি খেজুর (Sukkari Dates) কেনো সেরা ?
১। সবরকমের সুক্কারি খেজুর সরাসরি আমদানিকারকদের থেকে সংগ্রহ করে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
২। এই খেজুর সংরক্ষণে কোন রূপ ক্যামিকেল এর ব্যবহার করা হয় না।
৩। কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষিত এ খেজুর চাহিদা মত গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করা হয়।
৪। কোল্ড স্টোরেজে সঠিক তাপমাত্রায় নিরাপদে সংরক্ষণ করা হয় বিধায় এর মান নিয়ে কোন সং।
সুক্কারি খেজুরের গুণাবলী :
মিষ্টি স্বাদ:
সুক্কারি খেজুরের স্বাদ খুবই মিষ্টি এবং সুস্বাদু। এটি প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি হওয়ায় চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
পুষ্টিগুণ:
সুক্কারি খেজুর ভিটামিন, খনিজ লবণ, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এতে আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন থাকে।
সুক্কারি খেজুরের উপকারিতা :
দাঁতের স্বাস্থ্য: সুক্কারি খেজুর দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে।
কোলেস্টেরল কমায়: এটি শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ক্লান্তি দূর করে: সুক্কারি খেজুর শরীরকে শক্তিশালী করে এবং ক্লান্তি দূর করে।
রক্তস্বল্পতা দূর করে: আয়রনে সমৃদ্ধ হওয়ায় রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।
হজম শক্তি বাড়ায়: ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় হজম শক্তি বাড়ায়।
হৃদরোগ প্রতিরোধ করে: পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম হৃদপিণ্ড স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
হাড়কে শক্তিশালী করে: এতে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্তিশালী করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: সুক্কারি খেজুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
সুক্কারি খেজুর একটি পুষ্টিগুণে ভরপুর খাবার। এটি শরীরের জন্য অনেক উপকারী। সুক্কারি খেজুর সরাসরি বা গরম দুধের সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন। দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় সুক্কারি খেজুর অন্তর্ভুক্ত করলে শরীর ও মনের সতেজতা বজায় থাকবে।